মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টিতে রাজধানীর সড়কে পানি

মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টিতে রাজধানীর সড়কে পানি

সকালের ৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টি তলিয়ে দিল রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার প্রধান সড়ক। সেই সঙ্গে নিচু এলাকাগুলোতে বাসা বাড়িতে ঢুকে গেছে পানি।দুই দিনের সাপ্তাহিক ছুটির পর রবিবার সকালে বুদ্ধ পূর্ণিমায় সরকারি ছুটির দিন সকালে রাজধানী আড়মোড়া ভেঙেছে একটু দেরিতেই। তাই সড়কে যেভাবে যানবাহনের চাপ নেই। জরুরি প্রয়োজন না থাকলে সকালের বৃষ্টি উপভোগ্যই ছিল। ঘরেই থেকেছে মানুষ।

এর মধ্যে যারা বের হয়েছে, তাদের মধ্যে কেউ কেউ বিভিন্ন সড়কে পানি জমে থাকার ছবি সামাজিক মাধ্যমে দিয়েছেন।

গত বছরের প্রবল বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা তীব্র আকার ধারণ করার পর এবার বর্ষা মৌসুমের আগে পরিস্থিতি সহনীয় করতে নানা উদ্যোগের কথা জানিয়েছিল ঢাকা ওয়াসা। নতুন খাল খনন, পুরনো খাল দখলমুক্ত ও আবর্জনামুক্ত করাসহ নানা প্রকল্পই নেয়া হয়েছিল।

চলতি বছর এপ্রিল গত বছরের মতো বৃষ্টিস্নাত নয়। আর গত বছর এপ্রিলে যেখানে যখন তখন পানিতে ডুবে থাকত সড়ক, লোকালয়, সেই ভোগান্তি এবার আর হয়নি।

তবে আজ মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টিতে আগামী বর্ষায় কী হতে পারে, তার একটি নমুনা দেখা গেছে।

রাজধানীর আরামবাগ, সায়েন্স ল্যাবরেটরিসহ বিভিন্ন এলাকায় সড়কে পানি কমে থাকা এবং পানি কেটে গাড়ির চলাচলের ছবি এবং ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে। রাজধানীর নিচু এলাকাগুলোর অবস্থা আরও খারাপ।

২৪ ঘণ্টায় ৪০ মিলিমিটারের নিচে বৃষ্টি হলে ঢাকায় জলাবদ্ধতা হয় না৷ কিন্তু আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাব বলছে, সকাল সাড়ে আটটা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ৫৫ মিলিমিটার। এটি চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ।

অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, এই ভোগান্তি সামনেও হতে পারে। তাদের ধারণা, আগামী ৪৮ ঘন্টায় আবহাওয়ার পরিস্থিতি এমনটাই থাকবে। ঢাকাসহ সারা দেশেই ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে। সেই সাথে কালবৈশাখীর প্রবণতাও থাকবে।

নিচু এলাকাগুলোতে বাড়িতে উঠেছে পানি

শরিফুল ইসলাম বাবু। যাত্রাবাড়ির দনিয়ার বাসিন্দা। ৩০ বছর ধরে তিনি এই এলাকায় বসবাস করছেন। বর্ষ এলে তার দুঃশ্চিন্তার শেষ থাকে না। পুরো মৌসুমে বাসার পানি ছেচতে হয় তার।

পঞ্চাশোর্ধ এই মানুষটির সঙ্গে রবিবার সকালে। তখন তিনি বাসার পানি সেচার কাজ করছিলেন। ভোরের ঝড়ো বৃষ্টিতে তার বাসায় হাঁটু পানি জমেছে।

রেশমা বেগম দনিয়ার রসুলপুরের বাসিন্দা। তার বাসারও একই অবস্থা। তিনিও দুই সন্তান নিয়ে নেমে পড়েছেন পানি সেচার কাজে।

একই অবস্থা যাত্রাবাড়ীর কাজলা, শনিরআখড়া, দনিয়া, পাটেরবাগ, বর্ণমালা স্কুল, নয়াপাড়া, দাসপাড়া, সারলিয়া, মাতুয়াইল, মৃধাবাড়ি, রায়েরবাগ, ছনটেকসহ এই এলাকায়।

জানতে চাইলে দনিয়ার ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জুম্মুন ঢাকাটাইমসকে বলেন, বিভিন্ন সড়কে মেরামতের কাজ চলছে। ওয়াসাও এলাকায় বড় ড্রেন তৈরির জন্য কাজ করছে। এসব কারণে ড্রেন লাইন আটকে আছে। ফলে পানি সরতে পারে না। তৈরি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। তবে আমি ড্রেন নিয়মিত পরিষ্কার করে যাচ্ছি। এরপরেও পানি সরানো যাচ্ছে না।’

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment